ঢাকা: সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত হতে পারে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমান হাদির জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি ও নিরাপত্তায় সংসদ ভবন এলাকা ও আশেপাশে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
এদিকে, আজ দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের লক্ষ্যে আজ সকালে তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ আবারও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। আর সেখান থেকেই মিছিলসহ ওসমান হাদির মরদেহ নেওয়া হবে জানাজার স্থলে।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছায় ওসমান হাদির মরদেহ। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে। তার আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ফ্লাইটটি রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার পর ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এবং ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে হাদির মারা যাওয়ার খবর জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত সোমবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সালকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।