ঢাকা: জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যায়। এ নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। এ লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দর এলাকা, কারওয়ানবাজার ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।‘
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চ বলেছেন, ‘শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
এদিন, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ফ্লাইটটি রওনা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, বিজি-৩৮৫ ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। মরদেহ সুষ্ঠুভাবে দেশে আনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার পর ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এবং ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে হাদির মারা যাওয়ার খবর জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
এর আগে, ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সালকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।