ঢাকা: সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন। শহিদ ওসমান হাদির নিথর দেহ লালা সবুজের কফিনে দেশে ফিরছে আজ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ও ইনকিলাব মঞ্চের পেজ লাল সবুজের কফিন নিয়ে একটি পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ছবিসহ ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘হারাম খাইয়া আমি এত মোটাতাজা হই নাই, যাতে আমার স্পেশাল কফিন লাগবে! খুবই সাধারণ একটা কফিনে হালাল রক্তের হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো।’
এদিকে, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হাদির মরদেহ স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাদির লাশবাহী ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর ছাড়বে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে অবতরণের কথা রয়েছে। আর শনিবার জানাজা শেষে ওসমান হাদিকে দাফন করা হবে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার পর ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এবং ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে হাদির মারা যাওয়ার খবর জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া, শহিদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত সোমবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সালকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।