ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির বাজার, স্বস্তি নেই মাছ-মাংসে

‎ঢাকা: রাজধানীর কাঁচাবাজারে শীতের ভরা মৌসুমেও নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফেরেনি। বাজারগুলোতে পণ্যের সরবরাহ থাকলেও দামের কারণে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।
‎
‎শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, শিম, টমেটো, গাজর, মূলাসহ শীতকালীন সবজির কোনো ঘাটতি নেই। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি সবজির দাম তুলনামূলক বেশি।
‎
‎বাজারভেদে টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। গাজর, শিম ও বরবটির কেজিও অনেক জায়গায় ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে নামছে না। শালগমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
‎
‎পালংশাকের এক আঁটি কিনতে গুনতে হচ্ছে ২০ টাকা, আর লালশাক ও মুলাশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি দরে। বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
‎
‎এদিকে, মাছের বাজারেও একই অবস্থা। মাঝারি আকারের রুই মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা এবং কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা এবং শোল মাছের দাম উঠেছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা।
‎
‎আর মাংসের বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় নেমেছে।
‎
‎কারওয়ান বাজারে আসা একজন ক্রেতা শাহিনুর রহমান বলেন, বাজারে শীতের সবজি থাকার পরও দাম এত বেশি থাকার কারণই বোঝা দায়। সংসারের হিসাব মেলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে আমাদের।
‎
‎আরেকজন ক্রেতা সাবিকুন নাহার জানান, বাজারের সবকিছুর দাম যেমন বাড়ে তেমন যদি আমাদের বেতনটাও বাড়তো তাহলে আমাদের আর কোন কষ্ট থাকতো না।
‎
‎এদিকে সবজি বিক্রেতা আজমত আলী জানান, আমাদের বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
‎
‎আরেকজন বিক্রেতা আনিস মিয়া বলেন, পণ্যের দাম বেশির পাশাপাশি পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বেড়েছে। তাই পণ্যের দামও বাড়তি।
‎
‎বাজারের কার্যকর তদারকি ও বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফিরবে এমনটাই প্রত্যাশা বাজার করতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের।