ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টার প্রকাশ্যে টাঙানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ডা. তাসনিম জারা জানান, নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনে পোস্টার টাঙানো নিষিদ্ধ করেছে এবং তিনি সেই নির্দেশনা মেনে কোনো পোস্টার ব্যবহার করছেন না।
পোস্টে সংযুক্ত একটি ছবির উল্লেখ করে তিনি জানান, তিতাস রোডের দেয়ালসহ খিলগাঁও, গোড়ান, সবুজবাগ ও মুগদা এলাকায় অন্যান্য প্রার্থীদের পোস্টারে দেয়াল ছেঁয়ে গেছে।
তিনি লেখেন, ‘এটি দু-একটি পুরোনো পোস্টারের বিষয় নয়; বরং সচেতনভাবে ও দাপটের সঙ্গে আইন অমান্য করা হচ্ছে, যা দেখলেই বোঝা যায়।’
ডা. জারা বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সৎ প্রার্থীদের নির্বাচনি মাঠ থেকে আড়াল করে দেওয়ার একটি কৌশল নেওয়া হয়েছে। আইন মেনে চলার কারণে এলাকার দেয়ালে তার কোনো উপস্থিতি নেই, অথচ যারা আইন মানছে না, তাদের ছবি সর্বত্র দৃশ্যমান।’
একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইন লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার কোনো সদিচ্ছা তিনি দেখছেন না। নতুন দল হিসেবে এনসিপির প্রতীক ‘শাপলা কলি’ ভোটারদের কাছে পরিচিত করে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তার অভিযোগ, পোস্টার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এনসিপির এই নেত্রী আরও বলেন, ‘‘ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন যেভাবে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে, তা তাদের শঙ্কিত করেছে।’’
চোখের সামনে পোস্টারের এই ‘বেআইনি মহোৎসব’ চললেও কমিশনের নীরবতা উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরও লেখেন, ‘নির্বাচনের দিন সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটলেও কমিশন তা উপেক্ষা করতে পারে।’
পোস্টের শেষে ডা. তাসনিম জারা জানান, নির্বাচন কমিশন তাদের তৈরি হওয়া একটি ‘আন-ইভেন প্লেয়িং ফিল্ড’ কীভাবে সংশোধন করে, সে বিষয়ে তিনি অপেক্ষা করবেন।