গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পীরের মাজারে বিতরণ করা শিরনি নিয়ে পিতা ও দুই ছেলের মারপিটে আহম্মদ আলী (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর সখেরবাজারে নিহত আহম্মদ আলীর মৃতদেহের সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন থানার এস আই নওশের আলী।
স্থানীয়রা জানান, নিহত খলিলুর রহমান উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নয়নসূখ গ্রামের আপীল উদ্দিন মুন্সির ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে প্রতিদিনের মতো সকালে সখেরবাজারে তার দোকানে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত খলিলুর রহমান ও তার দুই পুত্র জেলা সদরের মালিবাড়ি ইউনিয়নের বারবলদীয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সখেরবাজারে পশু-পাখির খাদ্য বিক্রেতা।
খলিলুর রহমানের বাড়ির পাশে মুর্শিদের বাজার অদূরে আব্দুল ওয়াহিদ চিশতি দরবারে (মাজারে) চলমান ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে রাতে পরিবেশিত শিরনি (খিচুরি) নিয়ে গিয়ে হোমিও চিকিৎসক আহম্মদ আলীকে খেতে দেন খলিলুরের ছেলে মনু মিয়া। শিরনি পোড়া ও খাবারের অনুপযোগি হওয়ায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় খলিলুর ও তার দুই ছেলে মিলে আহম্মদ আলীকে মারপিট করলে আহম্মদ আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
থানার এসআই মোমিনুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখনো মামলা হয়নি। এজাহার পেলেই সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলমান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।