মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ ও দেশটি থেকে বের হওয়া সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধের নির্দেশ দেওয়ার পর বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস (অপরিশোধিত তেল কেনা বা বেচার একটি আর্থিক চুক্তি) ৭৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৯ দশমিক ৭১ ডলারে (বাংলাদেশি অর্থে ৭,৩৫০ টাকা) দাঁড়ায়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ৭৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৬ দশমিক ৪ ডলারে (বাংলাদেশি অর্থে ৬,৯৫০ টাকা) লেনদেন হয়।
এর আগের বারের তেলের দাম প্রায় পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়ায় মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে এমন প্রত্যাশায় সরবরাহ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, যদিও বৈশ্বিক চাহিদা তখনও দুর্বল ছিল।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকারের ওপর অবরোধের নির্দেশ দেন এবং দেশটির শাসকদের একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেন। কতগুলো ট্যাংকার এই অবরোধে পড়বে, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র এটি কার্যকর করবে এবং কোস্ট গার্ডকে ব্যবহার করা হবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্টতা নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজও মোতায়েন করেছে।
মার্কিন তেল ব্যবসায়ীদের মতে, এই পদক্ষেপে দৈনিক প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ প্রভাবিত হতে পারে, যার ফলে ব্যারেলপ্রতি দাম ১ থেকে ২ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এশিয়ার বাজারের তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আগের দিন দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর ফিউচারসে নতুন করে কেনাকাটা বাড়াও বুধবারের ঊর্ধ্বগতির একটি বড় কারণ।
যদিও ভেনেজুয়েলা থেকে তেল বহনকারী অনেক জাহাজ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকলেও ইরান ও রাশিয়া থেকে দেশটির তেল পরিবহনকারী কিছু জাহাজ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে।