ঢাকা: চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে কারফিউ জারি করে হত্যাকাণ্ডে উসকানির অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আজ বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
শুনানিতে প্রথমে প্রসিকিউশন তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করবেন। তবে এ মামলায় সালমান ও আনিসুলের পক্ষে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এ আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানিকালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুমতি নিতে হয়, এরপর ট্রাইব্যুনালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের অনুমতির পর বার কাউন্সিলের অনুমোদন নেওয়ার বিধান রয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য বিষয়টি মুলতবি রাখেন। তবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগটি আমলে নেয়।
প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের মধ্যে একাধিক ফোনালাপ হয়। ওই কথোপকথনের এক পর্যায়ে কারফিউ চলাকালে আন্দোলনকারীদের ‘শেষ করে দেওয়ার’ কথা বলেন তারা। এর পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এসব বক্তব্য হত্যাকাণ্ডে সরাসরি উসকানি হিসেবে কাজ করেছে বলে দাবি প্রসিকিউশনের।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ একাধিক মামলায় তারা কারাগারে রয়েছেন।
