নীলফামারী: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালি ও পুষ্পমাল্য অর্পণ কর্মসূচিতে খিচুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসাছাত্রদের অংশগ্রহণ করানো হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নীলফামারী জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে উঠেছে, নীলফামারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হাফেজিয়া মাদরাসার প্রায় ৩০ জন ছাত্রকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে নিয়ে আসা হয়। যদিও এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ওই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মাদরাসা ছাত্র আল আমিন, আশরাফুল ও সাবিনুর ইসলাম জানান, ‘আমাদের বলা হয়েছিল খিচুড়ি খাওয়ানো হবে। সেই কথা বলেই আমাদের কর্মসূচিতে আনা হয়। আমরা মোট ৩০ জন ছাত্র অংশ নিয়েছি।’
এ বিষয়ে মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা নূরনবী সারাবাংলাকে বলেন, তিনি সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কোনোভাবেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এনসিপির কোনো কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি কোনো ছাত্রকে মিছিল বা কর্মসূচিতে পাঠাইনি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে এনসিপির নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক মো. আব্দুল মজিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাদরাসার ছাত্ররা বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে। তারা ছাড়াও আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কাউকে কোনো লোভ দেখিয়ে কর্মসূচিতে আনা হয়নি।’
এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও নীলফামারী-২ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মো. কামরুল ইসলাম দর্পণ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাদরাসার হুজুরকে জানিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে আসা হয়েছে। মাদরাসার ছাত্ররা আমাদের দলের কোনো কমিটিতে নেই।’
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমাদের মূল্যায়ন করতে পারেনি। বর্তমান এনসিপির এমপি প্রার্থীর কাছেও আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। সংগঠনটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে গঠিত হলেও বর্তমানে ভাড়া করা লোকজন এনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। নীলফামারীর নেতারা সংগঠনটিকে নষ্ট করে ফেলছে।’