ঢাকা: আসছে ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও তফসিল ঘোষণার আগেই দুই দফায় ২৭২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। কিন্তু প্রথম দফায় নাম ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের বিভিন্ন আসনে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ওই সময় অন্তত ১০০ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি ওঠে তৃণমূল থেকে।
সেই বিদ্রোহ দ্বিতীয় দফা নাম ঘোষণার পরও অব্যাহত আছে। আর এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এরই মধ্যে দেশের ১৯ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতরা। এদিকে শিগগিরই বাকি ২৮ আসনেও প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। বিএনপি সূত্র বলছে, যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে সেসব আসনে প্রার্থিতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দুয়েকটি পরিবর্তন হলেও তা হবে শরিক দলের প্রার্থীদের জন্য। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ২৯ ডিসেম্বর। সেই হিসাবে সময় আছে মাত্র দুই সপ্তাহ। তার আগেই দলের প্রার্থী ও জোটের আসনগুলোতে কারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তাও জানা যাবে। আর সেই সময় নিশ্চিত হওয়া যাবে, বিএনপির কতজন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত অন্তত ১৯টি আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতরা আগামী নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকে মনে মনে নির্বাচন করার জন্য রেডি হয়ে থাকলেও ঘোষণা দেননি। ২৯ ডিসেম্বর জানা যাবে আসলে কতজন বিদ্রোহী হবেন। এখন পর্যন্ত যেসব আসনে বিদ্রোহী হওয়ার ঘোষণা এসেছে সেগুলো হলো-
নারায়ণগঞ্জ-২ আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সহ-অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাবেক প্রয়াত সভাপতি বদরুজ্জামান খান খসরুর ছেলে।
নারায়নগঞ্জ-৪ আসনটি জমিয়তের মনির হোসেন কাসেমীকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। তবে এখানে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নারায়নগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক। অপরদিকে, মনির হোসেন কাসেমীকে তার দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের পক্ষ থেকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি থেকে মনোনয়ন নেওয়ার জন্যই তাকে শোকজ দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও সদরের আংশিক) আসনে ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এখানে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন এনামুল হক মোল্লা। তিনি সৌদি আরবের মক্কার মেছফালা বিএনপির সভাপতি। তিনি সম্প্রতি যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এনামুল হক মোল্লা সম্প্রতি দেশে ফিরে গাজীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। গত ৫ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর অভিযানে এনামুল হক মোল্লা ছাড়াও ছয় জনকে আটক করা হয়।
গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান। এখানে বিএনপির ফিনল্যান্ড শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর এম এ হাশেম চৌধুরী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নিজেকে জিয়ার সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী)। এই আসনে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে, স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও তার কর্মী-সমর্থকরা। তারা দু’জনই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। সম্প্রতি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কৃত কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি সালাহউদ্দিন আলমগীর রাসেল।
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে। এখানে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন শিল্পপতি আবুল বাসার খান। তিনি রাজ্জাক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তিনবার সিআইপি ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি তার।
জামালপুর-১ আসনে দলের কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ উপজেলার চারবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদার নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মাগুরা-২ (শালিখা-মোহাম্মদপুর ও আংশিক সদর) এই আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক মন্ত্রী দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীকে। এখানে বিএনপি নেতা কাজী সলিমুল হক কামাল প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
নড়াইল-১ (কালিয়া ও সদর) বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট কর্নেল এসএম সাজ্জাদ হোসেন। ২০১৮ সালে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম কয়সার আহমেদ। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন।
সুনামগঞ্জ-৪ (বিশ্বম্ভারপুর-সদর আংশিক) এ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি বিএনপি খালি রেখেছে। এখানে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা মনোনয়ন চাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে এখানে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এখানে প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। জানা গেছে, জুনায়েদ আল হাবীবকে মনোনয়ন দিলে রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। তিনি নিজে বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীরা চাইলে দল মনোনয়ন না দিলেও তার নির্বাচন করতে হবে।
কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ ঘোষণা না দিলেও মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা-১০ আসনের লোক বলে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এখানের নেতা চেয়ারপারসনের আর একজন উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসিন। তার কর্মী সমর্থকদের দাবি, তিনি যেন নির্বাচন করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে হাজী ইয়াসিন বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন।
পাবনা-৩ (চাটমহর) আসনে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এখানে বিএনপির দু’জন প্রার্থী তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা দুজন চাচা-ভাতিজা। চাচা সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম এবং ভাতিজা হাসাদুল ইসলাম হীরা। তারা নির্বাচন করার বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি, মনোনয়ন পরিবর্তন না করলে যেকোনো একজন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওই আসনে পাঁচ বারের সাবেক এমপি, সংসদে বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারককে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তার বিরুদ্ধে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী মফিজুর রহমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে দলের আরেকটি পক্ষ। ওই পক্ষটি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নানের অনুসারী।
নাটোর-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুল। এখানে বিএনপির ত্যাগী নেতা কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনটি জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রবের জন্য রেখেছে। এখানে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু এই আসনের জনপ্রিয় বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।
পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেনি। আসনটি গণঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের জন্য খালি রাখা হয়েছে। এখানে ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি হাসান মামুন নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় মনোনয়ন না পেলে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন। এখানে তার ব্যাপক জনসমর্থনও রয়েছে।
নড়াইল-১ (কালিয়া ও সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর নড়াইল-১ আসনে এখন পর্যন্ত খুব কম সংখ্যকই প্রকৃত অর্থে যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন। আমার ৩০ বছরের সামরিক বাহিনীর অভিজ্ঞতা, জাতিসংঘ মিশনে দেশের প্রতিনিধিত্বসহ সামগ্রিক দক্ষতা এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণই আমার লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, তার বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমান শিকদার ও সহোদরসহ একই পরিবারের মোট পাঁচজন সরকারি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা।
পাবনা-৩ আসনের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসাদুল ইসলাম হীরা গত ২১ নভেম্বর চাটমোহরে এক পথসভায় বলেন, ‘আমি ও আনোয়ার চাচা দলের হাই কমান্ডের সঙ্গে বসেছিলাম। সেখানেও আমরা একই কথা বলেছি। যার ৫ পার্সেন্ট জনসমর্থন নাই, তাকে যদি আপনারা মনোনয়ন দেন, তাহলে তিনি নির্বাচনে জিততে পারবেন না। যদি দলের কাছে একটা আসনের চাইতে একজন নেতা বড় হয় তাহলে এই নেতাকে (কৃষিবিদ তুহিন) মনোনয়ন দেওয়া সঠিক আছে। আর যদি আসন জিততে হয় তাহলে পাবনা-৩ এর প্রার্থী পরিবর্তন করে স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। যদি প্রার্থী পরিবর্তন না করে তাহলে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য আমি সেন্ট্রাল নেতাদের দায়ী করব।’
ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সুনামগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগিরই এলাকার মানুষদের সঙ্গে বৈঠকে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সামনে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেব।’ দলের কড়া হুঁশিয়ারির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি জেনে বুঝেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলাকার মানুষের চাপে আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘দল সবসময় শতভাগ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সেজন্য অনেকে নিজেকে যোগ্যপ্রার্থী মনে করে। তৃণমূলেও তাদের জনসমর্থন বেশি হতে পারে। তবে সবাইতো দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আশ্বাস দিয়েছে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করবে না। এখন কেউ যদি করে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।’