ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি গণযুদ্ধ; এটি কোনো দলের একক যুদ্ধ নয়। তিনি বলেন, সাম্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, কিন্তু ১৯৭১–এর পরপরই দেশে দুঃশাসনের সূচনা ঘটে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে যে স্বপ্নে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের যুদ্ধ ছিল জনগণের যুদ্ধ। এটিকে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।
নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, অল্পসংখ্যক আসনের রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং সে লক্ষ্যেই তারা নতুন ফর্মুলা হিসেবে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির কথা বলছে।
প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এসব দেশে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দুর্বল সরকার গঠিত হয়েছে, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
একটি গোষ্ঠী গণ-অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না এলে দেশে আবারও ভুল ইতিহাস চর্চা শুরু হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, আসন্ন দিনে হত্যাসহ নানা ষড়যন্ত্র হতে পারে। তবে এসব প্রতিরোধে বিএনপিই একমাত্র শক্তি বলে তিনি দাবি করেন।
সভায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।