ঢাকা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাদিকে হত্যার চেষ্টা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর মধ্য দিয়ে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিএনপিকে হীন ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী শক্তিকে বিভক্ত করতে পরিকল্পিতভাবে গুজব ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে তরুণ প্রজন্মকে আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে বলে তিনি আহ্বান জানান।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই নির্বাচনে মূলত দুটি শক্তির লড়াই হবে। একদিকে উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী শক্তি, আর অন্যদিকে পিছিয়ে পড়া ও বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তি। যারা ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, তারাই ইতিহাসে বারবার সংকট তৈরি করেছে।”
তিনি ১৯৭১ সালের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেই সময়ও একই ধরনের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এখন তারা নতুন রূপে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার কথা বলছে, যা আদতে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল ছাড়া কিছু নয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন,“নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ আমরা মাথা তুলতে দিতে পারি না। বাংলাদেশকে আবার পেছনে টেনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। জনগণ আসন্ন নির্বাচনে সঠিক ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেবে।”
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত দেশকে আরও গভীর সংকটে ঠেলে দেবে।
এ ছাড়া তিনি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান, গণতন্ত্রের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে একটি “নতুন বাংলাদেশ” গড়ার আহ্বান জানান।