ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বা নতুন তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো নিরীক্ষার লক্ষ্যে যোগ্য নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তিতে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ ধারাবাহিকতায় দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে অতিরিক্ত আরো ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘প্যানেল অব অডিটরস অ্যান্ড অডিট ফার্মস তালিকাভুক্তির জন্য নীতিমালা’ এর বিদ্যমান খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং ‘আইপিওর জন্য উপযুক্ত এবং যথাযথ তালিকাভুক্তির মানদণ্ড’ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুসারে নির্দেশিকা পুনর্নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে কমিশন দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রধান হিসাবরক্ষক কামরুল আনাম খান (উপদেষ্টা) এবং সহকারী পরিচালক তন্ময় কুমার ঘোষ (সদস্য)।
কমিশন উক্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ত্রিশ কর্মদিবস বৃদ্ধি করেছে। উক্ত আদেশের অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। এই আদেশ যথাযথ অনুমোদনের সাথে জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তথ্য মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অথবা কোন কোম্পানি যখন তালিকাভুক্ত হতে চায় তখন বিএসইস’র তালিকাভুক্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করতে হয়। এর বাইরে অন্য কোনো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নিরীক্ষা করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও রুলসের নতুন বিধিমালার খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বর্তমানে অংশীজনদের সঙ্গে আইপিও আইনের মতামত নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। তাই এই আইনের সাথে যোগ্য নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা ফার্মের নতুন তালিকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত তালিকা কার্যকর হলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও আইপিও প্রক্রিয়ায় আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষার মান আরও উন্নত হবে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সহজ হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি স্পষ্ট ও মানসম্মত তালিকা প্রণয়ন হলে আর্থিক অনিয়ম কমবে এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স জোরদার হবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের পুঁজিবাজার আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।