ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আগামীকাল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের সেই দিনে বিজয় যখন সন্নিকটে তখন সুপরিকল্পিতভাবে জাতির বাছাই করা মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা একটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল। দেশবিরোধী শক্তি চেয়েছিল এই জাতিকে মেধাহীন করতে, চিন্তাহীন করতে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সকল শহিদদের মাগফিরাত এবং যথাযথ প্রতিদান কামনা করছে।’ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘একাত্তর সালের পুরো বছরজুড়েই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ১৪ ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরপরই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো। তখন স্বাধীন দেশের সরকারের প্রধান কাজগুলোর একটা হওয়ার কথা ছিল এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা। দুঃখজনক সত্যিটা হলো, তখন এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হয় নাই, অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয় নাই। স্বাধীনতার বহু বছর পরে ২০১৩ সালে যে বিচার হয়েছে তাতেও বিচারের বিষয়টি বিতর্কিতই রয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ট তদন্ত চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অপরাধীচক্র চিহ্নিত হয়ে থাকুক। অন্যথায় ইতিহাসের কাছে জাতি হিসেবে আমরা দায়বদ্ধ থেকে যাবো।’
তিনি জানান, আগামীকাল (১৪ ডিসেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশেই দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে। শহিদদের জন্য দোয়া করা হবে। তাদের মহিমা তুলে ধরা হবে, ইনশাআল্লাহ।