শীতকালীন ঝড় ‘বাইরন’-এর প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শরণার্থীদের তাঁবু, ভিজে গেছে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁবুর ভেতর হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। বার্তাসংস্থা এপির বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির সময়েও গাজায় পর্যাপ্ত আশ্রয় সামগ্রী প্রবেশ করছে না। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায়, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও তা পূরণ হয়নি যদিও ইসরায়েল এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ‘ঠান্ডা, অতিরিক্ত ভিড় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। অবাধ মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা ও উপযুক্ত আশ্রয় নিশ্চিত করা হলে এই দুর্ভোগ এড়ানো যেত।’
গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষের অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত। ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির খোলসের ভেতর বা উপকূলজুড়ে বিস্তৃত তাঁবু শিবিরে তারা বসবাস করছে, যেখানে বন্যা প্রতিরোধের কোনো অবকাঠামো নেই।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে গাজা শহরে আগে বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত তিনটি ভবন আংশিক ধসে পড়েছে। সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে না থাকার সতর্কবার্তা দিয়েছে। ঝড়ের রাতে গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫০০-এর বেশি ফোনকল পেয়েছে।