ঢাকা: ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরিচয়-ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পরিচিত অনেকে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেন। যদিও পুলিশ এখনো গুলিবর্ষণকারীর পরিচয় নিশ্চিত করেনি।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্টে দেখা গেছে, গুলিবর্ষণকারীর নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। দাউদ ফয়সাল নামেও পরিচিত তিনি। ওয়াশিউ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সে। আদাবর শম্পা মার্কেটের পাশে তার অফিস। ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।

সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট।
পোস্টে আরও উল্লেখ রয়েছে, একটা জিনিস খেয়াল করলে বোঝা যাবে সিসিটিভি ফুটেজে লোকটা বাম হাতে গাল ভার দিয়ে আছে। আমরা সাধারণত গালে হাত দিলে ডান হাতে ভর দেই। লোকটা যখন গুলি করছিল রিকশা তার বাম দিকে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে শুটার বাঁহাতি।
সপ্তাহখানেক ধরেই হাদির প্রচারণায় অংশগ্রহণের নামে ইনকিলাব সেন্টারে আসা যাওয়া করছিলেন তিনি। এমনকি নির্বাচনি প্রচারণায়ও অংশগ্রহণ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত করেনি। পুলিশ শুধু গুলিবর্ষণকারীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
পুলিশ বলেছে, প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ এবং ওসমান হাদির জনসংযোগ টিমের কাছ থেকে প্রাপ্ত দুটি ছবি বিশ্লেষণ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে গুলিবর্ষণকারী হাদির সঙ্গে মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছিল। তাকে ধরতে এরইমধ্যে সারাশি অভিযান শুরু করেছে ডিএমপি। মাঠে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে ফ্যাক্ট চেকার প্রতিষ্ঠান দ্যা ডিডেন্টের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বাইক থেকে গুলি ছোঁড়া দুই ব্যক্তি শুক্রবার দুপুরে মতিঝিল ওয়াপদা মাদরাসা (জামিআ দারুল উলুম মতিঝিল) এলাকায় হাদীর সাথেই মাস্ক পরা অবস্থায় জনসংযোগে অংশ নিয়েছিল।
দ্যা ডিডেন্ট আরও জানায়, মোটরসাইকেলে করে পেছন থেকে আসা গুলিবর্ষণকারী দুইজনের মধ্যে একজনের গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর এবং পরণে আকাশি রঙের প্যান্ট ছিল। অন্যজনের গায়ে কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা, পায়ে চামড়া রঙের জুতা ছিল। হামলাকারী দুই বাইক আরোহীর পোশাকের সাথে জনসংযোগে অংশ নেওয়া ওই দুই ব্যক্তির পোশাক মিলে যায়।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে শুক্রবার দুর্বৃত্তরা গুলি করে। এরপর ঢামেকের জরুরি অপারেশন থিয়েটারে হাদিকে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা চলার পর রাতেই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।