ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরেরদিনই টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত। এই হামলা গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করা ছাড়া অন্য কিছু নয়। এই ঘটনায় প্রমাণ করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কতটা নাজুক।’
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সন্ত্রাসীদের দমনে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনী অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ওসমান হাদীদের নেতৃত্বে যেই নতুন বাংলাদেশ জাতি পেয়েছে সেই নতুন বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলতে দেওয়া যায় না। ‘সন্ত্রাসীদের রুঁখে দিতে আরেকটি অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিতে তিনি ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, সরকার যদি সন্ত্রাসীদের দমন করতে না পারে তবে মানুষ আবারও অভ্যুত্থান ঘটাবে। ওসমান হাদীকে কেন হত্যা করতে হবে, কারা হত্যা করবে এটি জনগণ বুঝে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওসমান হাদীর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারলে জনগণ রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, যারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের নিরাপত্তা আজ থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। ওসমান হাদীকে হত্যার পরিকল্পনাকীরসহ সন্ত্রাসীদের গডফাদারকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পরিচালনায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসান, পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে শেষে, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।