ঢাকা: ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন তিনি। গত ১২ নভেম্বর তিনি জানান, ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তরা হাদীকে গুলি করে পালিয়ে গেলে এ বিষয়টি আবারো আলোচনায় আসে নেটিজেনদের মাঝে।
এ ফেইসবুক পোস্টে হাদি লিখেন, ‘গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো-আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ইনসাফের এই লড়াই হতে আমি এক চুলও নড়বো না, ইনশাআল্লাহ।’
বুয়েটে ছাত্রলীগের হাতে হত্যা হওয়া আবরার ফাহাদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেছিলেন, ‘এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারও আবরার জন্মেছে এদেশে। এক হাদিকে হত্যা করা হলে তাওহীদের এই জমিনে আল্লাহ লক্ষ হাদি তৈরি করে দেবেন। স্বাধীনতার এই ক্রুদ্ধ স্বরকে কোনোদিন রুদ্ধ করা যাবে না। লড়াইয়ের ময়দানে আমি আমার আল্লাহর কাছে আরও সাহস ও শক্তি চাই। আরশ ওয়ালার কাছে আমি হাসিমুখে শহীদি মৃত্যু চাই।’
‘আমার পরিবার ও আমার কলিজার সহযোদ্ধাদেরকে আল্লাহ তায়ালার কুদরতি কদমে সোপর্দ করলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। হাসবিয়াল্লাহ।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে শরীফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গুলিটি তার বাম কানের নিচ দিয়ে আঘাত করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।