ঠাকুরগাঁও: ১- আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে কাজ করতে চায়। আমরা চাই সকলেই একি সাথে বসবাস করে আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসা তৈরি হয়ে যাক। সম্প্রতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমরা সুন্দর শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে পৌর শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন,‘কারো উপর নির্যাতন, অত্যাচার, চাঁদাবাজি, জমি দখল এ ধরনের কোনো ইতিহাস জামায়াতে ইসলামীর নাই। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের কাজ অতীতেও করেনি, সামনেও করবেনা। বরং আপনাদের যে কোনো বিপদ আপদে আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম আর ভবিষ্যতেও আমরাই থাকব।’
দেলাওয়ার আরও বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই নিজেকে যখনই সংখ্যালঘু ভাবেন তখনই আপনাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যে আপনারা সংখ্যায় কম। কিন্তু জামায়াতে আমির বলেছেন, এই বাংলদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু থাকবে না। সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। সবাই সমান অধিকার পাবো। সুতরাং আগামী দিনে আপনারা নিজেকে সংখ্যালঘু বলবেন না। আমরাও কখনো আপনাদের সংখ্যালঘু বলব না।’
রাজনীতি প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময়ে যে রাজনৈতিক কালচার দেখেছি সেটা ছিল নোংরা ও প্রতিহিংসার রাজনৈতিক কালচার। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা জনগণের উপর নির্যাতন চালায়। বিভিন্ন ভাবে অত্যাচারের মাধ্যমে অনেকের ঘুম হারাম করে দেয়। আমরা এ প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না।’
ঠাকুরগাঁও নিয়ে দেলাওয়ার বলেন, ‘বিগত ক্ষমতায় ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমরা জেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করতে চাই ইপিজেডসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে দেশের মানচিত্রে ঠাকুরগাঁও জেলার নাম লিখতে চাই। আজকে কৃষকরা সার পাচ্ছেন না। আমরা এ সমস্যা দূর করতে চাই।’
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাকসু) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য সুজন চন্দ্র রায় সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।