Tuesday 09 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ


৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১৮ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:২৬

ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সারাবংলা

ঢাকা: জুলাই আন্দোলনে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ও শহিদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ এ তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে। তিনি এ মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী।

মামলায় এ পর্যন্ত ছয় জন আসামি গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন— এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল, আনোয়ার পারভেজ

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে পর্যায়ক্রমে। সর্বশেষ ২৭ নভেম্বর ২১ নম্বর সাক্ষীর জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে নভেম্বরের বিভিন্ন দিনে জবানবন্দি দিয়েছেন ছাত্র, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

২৪ নভেম্বর নির্ধারিত সাক্ষী আদালতে হাজির থাকলেও বিশেষ কারণে তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। ২৩ নভেম্বর জবানবন্দি দেওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আহত আবু সাঈদকে তিনিই হাসপাতালে নেন এবং তাকে মৃত ঘোষণার পর লাশটি পুলিশ তুলে নেয়। এ জবানবন্দি নিয়ে পলাতক ২৪ আসামির স্টেট ডিফেন্স ও গ্রেফতারদের আইনজীবীরা জেরা করেন।

১৬ নভেম্বর মিঠাপুকুর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক ১৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে ঘটনার দিনের পুরো বিবরণ দেন। ১২ নভেম্বর এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন এসি এবং তাজহাট থানার ওসির নির্দেশে চালানো গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। ১০–১১ নভেম্বরও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত বিবরণ দেন।

এই মামলায় সাক্ষী হাজির না হওয়ায় অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কয়েক দফা সময় পেছানো হয়েছিল। ২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এবং সাংবাদিক মঈনুল হকের জবানবন্দির মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

২৭ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর আগে ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে ২৪ জন এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে সরকারি খরচে চার আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ৩০ জুলাই তাদের পক্ষ থেকে শুনানি হয়।

অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ হয় ২৮ জুলাই। ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়। ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করে। এ মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছেন ৬২ জন।

হাসনাত আবদুল্লাহর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলাটির গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ধাপ অতিক্রম করতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর