ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত, কয়েদি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দেশে থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ মিলবে সবার পরে। এ ক্ষেত্রে ভোটের ঠিক আগে আগে তারা এ সুযোগ পাবেন, যখন তারা মোতায়েন হবেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরের সামনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যারা দেশের অভ্যন্তরে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তারা তফসিল ঘোষণার থেকে ১৫ দিনের ভিতরে নিবন্ধন করবেন, যেন তারা তাদের নির্ধারিত ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালটটা পেতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের কার্যক্রমের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত হবেন তাদের ডেপ্লয়মেন্টটা পরে হবে। যেমন পাঁচ দিন অথবা সাত দিনের জন্য যাদের ডেভলপমেন্ট হবে (পুলিশ বাহিনী অথবা সেনাবাহিনী বা আনসার বাহিনী) তাদের নিবন্ধনটা পরবর্তীতে থাকবে। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবী এবং যারা আইনি হেফাজতে আছেন তাদেরটা তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ১৫ দিনের ভিতরে কমপ্লিট করতে হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে একটা ভাষণ রেকর্ড করবেন। এখন রেকর্ডের বিষয়বস্তু এবং সময় এটা স্যার নির্ধারণ করবেন। কিন্তু একটা রেকর্ডিং হবে এটুকু আমার জানা আছে এবং সেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।’
সাধারণত যেদিন রেকর্ড হয় ওই দিনই তফসিল ঘোষণা হয়- এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে বলেছি যে রেকর্ডিং এর বিষয়বস্তু এবং কখন করবেন এ সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আমি যখনই দেখুন আপনারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন ১০ তারিখে রেকর্ড করা হবে কিনা আমি বললাম যে হ্যাঁ হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাতের সময়টা জানানো হয়নি, আমি আশা করছি যে কালকে নাগাত জানানো যাবে।’
সিভিল সার্ভিসের অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা এসে আমাদেরকে জানিয়ে গেছে, সিভিল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।‘