এই মৌসুমের শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন তারা। ব্রাজিলের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোস ছিল রেলিগেশনের একেবারে দ্বারপ্রান্তে। ক্লাবের এমন বিপদে রক্ষাকর্তা হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন ঘরের ছেলে নেইমার। নেইমার জাদুতেই শেষ পর্যন্ত এই মৌসুমে অবনমন থেকে বেঁচে গেল সান্তোস। লিগের শেষ ম্যাচে ক্রুইজেইরোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম বিভাগেই রইল সান্তোস।
মৌসুমের মাঝপথে এসেও মনে হচ্ছিল, এবার হয়তো সত্যিই রেলিগেশনে পড়বে সান্তোস। ইনজুরিতে জর্জরিত নেইমারও খুব বেশি সাহায্য করতে পারছিলেন না ক্লাবকে। ইনজুরির কারণে এই বছরে আর মাঠে নামবেন না নেইমার, ধারণা করা হচ্ছিল এমনটাই।
তবে লিগের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে সেই নেইমারই বাঁচিয়ে দিলেন সান্তোসকে। আগের দুই ম্যাচে নেইমার জাদুতেই মহা গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছিল সান্তোস।
লিগের শেষ ম্যাচে গোল না পেলেও পুরোটা সময়ই মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন নেইমার। থাচিয়ানোর জোড়া গোল ও হোয়াও স্মিদিতের গোলে ক্রুইজেইরোকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সান্তোস। এই জয়ে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে থেকেই লিগ শেষ করলেন তারা।
এই মৌসুমে নেইমার খেলেছেন মাত্র ১৯ ম্যাচ, গোল করেছেন ৮টি। দলকে রেলিগেশন থেকে বাঁচিয়ে উচ্ছ্বসিত নেইমার, ‘আমি এখানে এসেছিলাম দলকে সাহায্য করতে। সময়টা খুব কঠিন ছিল। সবার সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। এমন ফলাফলে আমি দারুণ খুশি। এখন আমি হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাবো।’
অস্ত্রোপচার শেষে নেইমার সুস্থ হয়ে কবে ফিরতে পারবেন, সেটা এখনো জানা যায়নি। বিশ্বকাপের আগে ফিট হয়ে ব্রাজিল দলে ফিরতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।