গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জেলা বিএনপি নেতা ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক অফিস ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার রাখালিয়া চালা, মৌচাক ও পৌর এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও মহনাগরীর একাংশ) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক পরিবহণ শ্রমিক নেতা হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কালিয়াকৈরের সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান। গত ৪ ডিসেম্বর দল মো. মুজিবুর রহমাকে মনোনয়ন দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হন অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকরা।
রোববার বিকেলে তৃণমূল বিএনপির ব্যানারে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলের ঘোষণা দেয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা মৌচাক ইউনিয়নের আম বাগান ও কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হলে মুজিবুর সমর্থিতরা পৌর বিএনপি নেতা সাইজুদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েক’শ মোটরসাইকল যোগে এসে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, হামলাকারীরা মৌচাক ইউনিয়ন ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাদের ওপর হামলা করে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেলিমুউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রনি মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং মৌচাক বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা হাজী হারুণ হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন।
তাদের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আটটি মোটরসাইলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়।
মনোনয়ন বঞ্চিত ইশরাক সিদ্দিকীর দাবি, এই আসনের মনোনয়ন ঘিরে এলাকার স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। তারই প্রতিফলন হিসেবে সমর্থকদের বিক্ষোভ করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমানের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুজিবুর রহমান জানান, তার কর্মীরা ওই এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে দুষ্কৃতিকারীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. শামিম জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।