Monday 08 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালুর প্রস্তাব থাই রাষ্ট্রদূতের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:০৭ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:০২

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাণিজ্যিক পরিবহনে ব্যয় ও সময় কমিয়ে আনতে থাইল্যান্ডের রানং সমুদ্র বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকাস্থ থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি।

রোববার ( ৭ ডিসেম্বর ) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন এর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ প্রস্তাব দেন। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ (এফটিএ) সম্পাদনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফতানি মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌ পরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বলে মন্ত্রণালয় জানায়।

বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সমুদ্রপথ ও নৌ পরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।

বৈঠকে থাই রাষ্ট্রদূত রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফ‌টিএ) সম্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। বিদ্যমান নৌ পরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌ রুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর