দিনাজপুর: দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। দীর্ঘ তিন মাস সাত দিন বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৩০ টাকা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারত থেকে একটি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে। ট্রাকটিতে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজ ছিল। প্রথম চালানটি আমদানি করেছে মেসার্স রকি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রকি মিয়া।
তিনি বলেন, ‘আজ ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে ট্রাকে ৩০ টন ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজারে দাম আরও কমে আসবে। তবে আজকের আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।’
রকি মিয়া আরও জানান, ‘প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় ইনভয়েস (চালান মতে) ২৪৫ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে।’
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী জানান, ‘বন্দরের ৪ টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।’
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকত। সরকার ভারত থেকে সীমিত পরিসরে ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির আইপি অনুমতি জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ একটি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আগে ৪ থেকে ৫ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দেওয়া হতো।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেশি করে শুরু হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং আরও কমে আসবে বলে আমি মনে করি।’
আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সরবরাহ করতে কাস্টমস সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে জানান হিলি কাস্টমস এর রাজস্ব কর্মকর্তা বাধন।