মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এক শহরে দেশটির সামরিক জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০ জন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে জান্তার বিমান থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার স্থানীয় এক উদ্ধারকর্মী ও দুই বাসিন্দা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জান্তার বিমান হামলায় হতাহতের এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের দমনে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ উঠলেও জান্তা বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দেশটির স্যাগাইং অঞ্চলের তাবাইন শহরে জান্তার বিমান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এরমধ্যে একটি বোমা ব্যস্ত সময়ে সেখানকার চায়ের দোকানে পড়ে বলে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, হামলার সময় চায়ের দোকানে ব্যাপক ভিড় ছিল। যে কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।
জান্তার নিপীড়নের ভয়ে এএফপিকে পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন স্যাগাইংয়ের বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা। সেখানকার এক উদ্ধারকর্মী বলেছেন, হামলার প্রায় ১৫ মিনিট পর তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তখনই সাতজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ১১ জন মারা যান।
মিয়ানমারে সামাজিক আড্ডাস্থল হিসেবে চায়ের দোকানের বেশ পরিচিতি রয়েছে। হামলায় ওই চায়ের দোকান ও আশপাশের প্রায় এক ডজন বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।