পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’, ‘বিভ্রান্ত’ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ বলে আখ্যা দিলেন দেশটির সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস সদর দফতরের উদ্বোধনের সময় সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লে. জেনারেল চৌধুরী বারবার খানকে সমালোচনা করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একটি টুইট তুলে ধরে এটিকে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘একটি বয়ান গড়ে তোলার ইচ্ছাকৃত চেষ্টা’ বলে বর্ণনা করেন।
ডিজি আইএসপিআর বলেন, ‘এই মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বয়ান গড়ে তোলার জন্য টুইট করেছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘খানের বক্তব্য জাতীয় নিরাপত্তার সীমায় ঢুকে পড়েছে। ‘ইমরান খানের বয়ান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’
বারবার তার নাম উল্লেখ না করে লে. জেনারেল চৌধুরী খানকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন, যিনি সাংবিধানিক দায়িত্বের চেয়ে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা চালিত। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ মনে করেন, যদি তিনি না থাকেন, তাহলে কিছুই নেই।
তিনি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তিনি মনে করেন, আমাকে ছাড়া কিছুই নেই।’
ডিজি আইএসপিআর জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং এর নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার রাজনীতি থেকে সেনাবাহিনীকে দূরে রাখুন,’ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রাতিষ্ঠানিক সীমারেখা সম্মান করার আহ্বান জানান।
লে. জেনারেল চৌধুরী আরো প্রশ্ন তোলেন, কারাবন্দী অবস্থায় থেকেও খান কীভাবে লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছেন এবং কথিতভাবে কারাগার থেকেই রাষ্ট্রবিরোধী বয়ান তৈরি করছেন। তিনি বলেন, ‘কোন আইনের অধীনে একজন বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয় এবং তিনি রাষ্ট্র ও পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বয়ান তৈরি করেন?’
তিনি দাবি করেন, খান যখনই কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখনই তিনি ‘রাষ্ট্র এবং পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বয়ান তৈরির জন্য সংবিধান ও আইনকে পাশে সরিয়ে রাখেন।’