Wednesday 10 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জ্বালানি খাতে ধারাবাহিক নীতি কাঠামোর দাবি ব্যবসায়ীদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ২০:৩০ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ২২:১৭

ঢাকা: আগামী নির্বাচিত সরকারের সামনে জ্বালানি সরবরাহ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তাই এখন থেকেই এ খাতের নতুন বিনিয়োগ করা না হলে ২০৩১ সালে সরবরাহ সংকট দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থায় এ খাতের ধারাবাহিক নীতি কাঠামোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে ‘ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম’ (ইআরএফ) ও ‘পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইএমএ পাওয়ার লিমিটেড-এর পরিচালক আবু চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

আবু চৌধুরী বলেন, ২০২৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ৩৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। তাই এখন থেকে নতুন বিনিয়োগ না করলে ২০৩১ সালে বিদ্যুৎ–সংকট দেখা দিতে পারে। বর্তমানে দেশের বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতার ৪৮ শতাংশ আছে বেসরকারি খাতের হাতে। তাই নতুন নীতি তৈরিতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম তামিম বলেন, আগামী সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে জ্বালানি সরবরাহ। শুধু সরকারি সংস্থা বাপেক্সের ওপর নির্ভরতায় গত ২০ বছরে সাফল্য আসেনি। তাই গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আনা দরকার। এ নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত না নিলে ২০৩১ সালে জ্বালানি সংকট তৈরি হবে।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, চা বাগানের ভূমি ব্যবহারের নীতি পরিবর্তন করা গেলে বাগান থেকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে রাস্তায় আমরা অনেক বৈদ্যুতিক গাড়ি দেখতে পাব। তখন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। তাই এ খাতে নীতি কাঠামো প্রয়োজন। বেসরকারি খাত বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিনিয়োগের জন্য সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটা সব দলের দায়িত্ব। নতুন বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। এতে প্রতিবছর কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়া ২৫ লাখ তরুণ কাজ পাবে না। ফলে কাজ না পেয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হবে।