চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম থেকে ২৯ জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া একটি ট্রলার ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি।
‘এফভি আমেনা গণি’ নামে ট্রলারটির মালিক সৈয়দ নুর চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা আশরাফ আলী রোডের বাসিন্দা। ট্রলারে থাকা ২৯ জেলের সবার বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় বলে জানা গেছে।
ট্রলার মালিক সৈয়দ নুর সারাবাংলাকে জানান, গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ট্রলারটি চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার ফিশারিঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা এলাকায় রাতে বিরতি নেয় সেটি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দুই মাঝি, চালক ও জেলেসহ ২৯ জন নিয়ে সেটি গভীর সাগরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
‘গত (শনিবার) রাতে ট্রলার থেকে টেলিফোনে আমাদের জানানো হয়েছে, ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলারটি আটক করেছে। সেটা না-কি ঘন কুয়াশার মধ্যে পথ ভুলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশপরগণায় তাদের জলসীমায় ঢুকে গিয়েছিল। ট্রলারটি আটক করে কোস্টগার্ডের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
বিষয়টি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরকে জানানো হয়েছে বলে জানান ট্রলার মালিক সৈয়দ নুর।
জানতে চাইলে নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্রলার মালিক থানায় এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, উনার একটা মাছ ধরা ট্রলার সাতক্ষীরা দিয়ে গিয়ে ভারতের সীমানায় ঢুকেছিল। সেটাকে না-কি ভারতের কোস্টগার্ড আটক করেছে। ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি এ তথ্য পেয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে দিতে বলেছি। তখন সেটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হিসেবে থানায় রাখা হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।’
ট্রলার মালিক সৈয়দ নুর সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্রলারে যারা আছে, সবার বাড়ি মহেশখালীতে। নৌ পুলিশ বলেছে, জিডির সঙ্গে সবার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে। আমাদের কাছে সবাই এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নেই। সেজন্য তাদের বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে। এনআইডি কার্ডের ফটোকপি পেলে কাল (সোমবার) জিডি করব।’
জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্রলার মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে, ভারতে উনার ট্রলারটি আটকে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের কিছু প্রক্রিয়া আছে। একটু সময় লাগবে। আসলে ঘটনা কী, সেটা আমরা নিশ্চিত করব। যদি সত্যিই সেটা ভারতের কোস্টগার্ডের হেফাজতে থাকে, তাহলে সেটা ফিরিয়ে আনার জন্য যে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা দরকার, সেটাই করা হবে।’