ঢাকা: বন্ডের অপব্যবহারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতি বলেন, ‘যারা বন্ডের অপব্যবহার করে তারা কখনোই কোন সমস্যায় পড়েনা। সবাইকে ম্যানেজ করায় তারা কোন চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েনা। আপনারা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। এদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। তাদের ছবি পত্রিকায় ছাপান।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। অনুষ্ঠানে পোশাক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবাসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠান। ছবি: সারাবাংলা
পণ্য আমদানিতে এইচ এস কোড তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বন্ড লাইসেন্সের আওতায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এইচ এস কোড তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করতে পারেন। যত সমস্যা হয় ওই এইচ এস কোডের কারণে। বছর শেষে আমরা পাই টু পাই হিসাব দিচ্ছি। তাহলে এইচ এস কোডের ঝামেলায় কেন পড়বো। এইচ এস কোডের ভুলের কারণে আবার মিথ্যা ঘোষণার অভিযোগও ওঠে। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘এইচএসকোড নিয়ে এতো জটিলতা। এইচএসকোডের ছোট জটিলতার কারণেও বলা হয় মিথ্যা ঘোষণা! আমরা তো বন্ড সুবিধার আওতায় এমনিতে পণ্য আমদানি করতে পারছি। এটিকে মিথ্যে ঘোষণা হিসাবে উল্লেখ করে ৪ গুণ জরিমানা করা ঠিক নয়। এইচএস কোডের প্রথম চার ডিজিট মিললেও যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রেও কিছু ঝামেলা রয়েছে। এইচএস কোডের জটিলতা নিরসন হলে আমদানি-রফতানি আরও সহজ হবে।’
হাতেম আরও বলেন, ‘রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলি হওয়ার কারণে ফাইল দীর্ঘদিন আটকে থাকে। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি নিতে সমস্যা হয়। তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করার দাবি করছি।’