ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘বন্ডের পুরো কাজ দ্রুতই অটোমেশন করা হবে। ভবিষ্যতে আর মান্যুয়াল্লি বন্ডের কোন কাজ হবে না।’
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। অনুষ্ঠানে পোশাক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবাসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আল্ট্রালাইজেশন পারমিশন (ইউপি) ইস্যুতে কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিবিএমস) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্য সিস্টেমের (সিবিএমস) বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি। আমরা একটা সার্কুলার জারি করবো, এখন থেকে আর কাগজে কোনো কাজ নেওয়া হবে না। আমরা শতভাগ অটোমেটেড করবো। যত দ্রুত সম্ভব করবো। পহেলা ডিসেম্বর থেকে এটা বাধ্যতামূলক করবো।’
তিনি বলেন, যদি কোন সমস্যা থাকে, বড় জোর এক সপ্তাহ সময় নেবো। সিবিএমস-কে বাধ্যতামূলক করবো। তার আগে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের (এআরও); তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যোগ করেন তিনি।
অদক্ষতা প্রমাণ হলে আরও ও এআরওদের চাকরিচ্যুত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় ফেল করলে অদক্ষতা বিবেচনা করে চাকরিচ্যুত করা হবে। কোনো ছাড় নেই।’
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি বন্ড লাইসেন্স ব্যবহাকারীদের তালিকা চাইলেও- ‘তা দেওয়া যায় না’ বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, বন্ড কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের ট্রেনিং দেওয়া হবে। সেখানে উত্তীর্ণ না হলে তাদের চাকরি করতে সমস্যা হবে। এসময় অদক্ষ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও হূঁশিয়ারি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বন্ডের অপব্যবহাকারীদের তালিকা চেয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুনির্দিষ্ট করে বলবেন, আমাদের কোন কোন সদস্য বন্ডের অপব্যবহার করে। আমাদের কোন সদস্য যদি বন্ডের অপব্যবহার করে আমরা তাদের সেবা বন্ধ করে দেবো। আমরা আমাদের ২২ টি প্রতিষ্ঠানকে ইন্ডিকেশন দিয়ে বলেছি, এসব করবেন না। মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের জন্য পুরো শিল্পকে দায়ী হবে সেটি আমরা গ্রহণ করবোনা।’
আর বন্ডের অপব্যবহারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, ‘যারা বন্ডের অপব্যবহার করে তারা কখনোই কোন সমস্যায় পড়ে না। সবাইকে ম্যানেজ করায় তারা কোন চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েনা। আপনারা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। এদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। তাদের ছবি পত্রিকায় ছাপান।’