Monday 08 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানবতাবিরোধী অপরাধ
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত অ্যামনেস্টির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৪৭ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৪৮

সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে নেওয়া হয়েছিল ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।

পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার এটিই প্রথম উদাহরণ। ভুক্তভোগীদের জন্য জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই বিচারিক প্রক্রিয়াজুড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড পুরোপুরি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর মধ্যে রয়েছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা বিধান করা, বিচার কার্যক্রম বেসামরিক আদালতে পরিচালনা করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ও জুলাই আন্দোলনের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর তিনটি পৃথক মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

১১ অক্টোবর তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে ও একজন ‘অবৈধভাবে’ অনুপস্থিত বলে জানিয়েছিল সেনা সদর।

ওইদিন এক সংবাদ সস্মেলনে ‘কেউ চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেই সে অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত নয়’ বলে দাবি করা হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। এর পরদিন ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তবে ওইদিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাদের ‘অবশ্যই আদালতে আনতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আর সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা তা পায়নি বলে জানিয়েছিল। তবে তার আগেই চাকরিরত ওই কর্মকর্তাদের হেফাজতে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয় বলে দাবি তাদের।

২২ অক্টোবর ওই ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর