ঢাকা: পাবনার মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তরসহ তিনটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৭০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে একটি প্রকল্প ছাড়া বাকী দুটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
এছাড়া ইতোপূর্বে একনেকে অনুমোদিত ১০টি প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩টি প্রকল্পে মোট ৪৯১ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় কমছে। তবে ব্যয় কমলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ছে। অবশিষ্ট প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৬টি প্রকল্পে মোট ব্যয় বাড়ছে ২০৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
নতুন ৩ প্রকল্প এবং অনুমোদিত ১০ সংশোধিত প্রস্তাবগুলোতে ব্যয় হ্রাস-বৃদ্ধিসহ ১৩ প্রস্তাবে সার্বিক ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
একনেকে অনুমোদিত নতুন ৩টি প্রকল্প হচ্ছে- ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পাবনার মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর; ৮৫১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন; এবং বৈদেশিক অর্থায়নে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রেজিলিয়েন্স স্ট্রেংদেনিং থ্রোয়াউ এগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্সবাজার’ প্রকল্প।
সংশোধিত ৩ প্রকল্পে ব্যয় কমছে ৪৯১ কোটি টাকা
একনেক সভায় অনুমোদিত ১০ সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে ৩টি প্রকল্পে মোট ৪৯১ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় কমেছে। তবে ব্যয় কমলেও প্রকল্প তিনটির বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
তিন প্রকল্পের মধ্যে- রাজধানীর উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে ৪৭৯ কোটি ৩ লাখ টাকা; ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে ১০ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয় কমছে।
৬ সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ২০৯ কোটি টাকা
একনেক সভায় অনুমোদিত ১০ সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে ৬টি প্রকল্পে মোট ২০৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ছে।
ব্যয় বাড়া ছয় সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে- গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (৩য় সংশোধন) প্রকল্পে ৭৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা; খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (৩য় সংশোধন) প্রকল্পে ৮৮ কোটি টাকা; জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন (৩য় সংশোধন) প্রকল্পে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা; অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধন) প্রকল্পে ১১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা; বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৩য় সংশোধন) প্রকল্পে ২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধন) প্রকল্পে ২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ছে।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)- পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটির ব্যয় হ্রাস-বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা চার বছর বাড়ানো হয়েছে।