Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেরোবিতে মশাল মিছিল
অনতিবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:২৯ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ০১:১৫

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বেরোবিতে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

রংপুর: তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা মশাল প্রজ্জ্বলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। আয়োজকরা জানান, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-সংশ্লিষ্ট বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাদের এই কর্মসূচি।

আয়োজক ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ও উন্নয়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ৫৭টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য ভাগাভাগির অধিকার দাবি করে স্লোগান তোলেন। প্রধান স্লোগান ছিল ‘ভারত যদি বন্ধু হও, পানির ন্যায্য হিস্যা দাও!’। এ ছাড়া, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা জানান, তিস্তা নদীর পানি সংকট, ভাঙন এবং বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, জীবিকা ও পরিবেশ বিপর্যস্ত। অবিলম্বে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। এই প্রতিবাদ উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

এর আগে বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী)-এ ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’-এর আয়োজনে হাজারো মানুষ মশাল মিছিল করে। মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যে মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ‘‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের একটি মেগা প্রকল্প, যা তিস্তা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, তীর সংরক্ষণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষায় কাজ করবে। ভারতের সঙ্গে পানি ভাগাভাগির অমীমাংসিত ইস্যুর কারণে এটি দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। গত ৫ অক্টোবর রংপুরে ‘তিস্তা রক্ষা আন্দোলন’-এর আয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করে মুখ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।’

শিক্ষার্থীরা জানান, অগ্রাহায়ণ মাসে নির্বাচনের আগেই প্রকল্প শুরু করতে হবে, না হলে উত্তরাঞ্চলের বৈষম্য আরও গভীর হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শুধু পানি চাই না, আমাদের অধিকার চাই। আবু সাঈদের মতো শহিদদের স্মৃতিতে এই আন্দোলন চলবে।’ এই আন্দোলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা উত্তরাঞ্চলের জনগণের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর