কুমিল্লা: কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের প্রধানসহ ১৪ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদেরভিত্তিতে দেবিদ্বার উপজেলাধীন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভিংলা বাড়ি এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে পুরো জেলায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে-এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ টহল জোরদার করে। যে কারণে ডাকাতদল ওই এলাকায় ডাকাতি করতে না পেরে দেবিদ্বার থানায় ডাকাতির সিদ্ধান্ত নেয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাকাতদল একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে রওনা দিয়েছে। তখন পুলিশ দেবিদ্বারের ভিংলা বাড়ি এলাকায় চেকপোষ্ট বসায়। পুলিশের চেকপোস্ট দেখে ডাকাতদল দরজা খুলে ও জানলার গ্লাস ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ডাকাতদলের ১৪ সদস্যকে আটক করে।
পুলিশ সুপার জানান, এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায় একটি ও নবীনগর থানা এলাকায় একটি ডাকাতি করেছে তারা।
তাদের কাছ থেকে চার জোড়া সোনার কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া নুপুর এবং নগদ বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন আন্তঃজেলা ডাক্তারদলের সরদার শাহ আলম দুলাল (৪০), মো. মনির হোসেন (৪০), মামুন মিয়া (২৪), মাহবুব আলম (৩৮), আলমগীর হোসেন (৩০), আল আমিন(৩২), কামাল হোসেন(৩২), মোশাররফ শরীফ(৩২), মোঃ সুমন(৩৩), মো. খোকন (৪০), আলামিন(২৫), মো. সোহেল (২৬), আউয়াল (৫০), নিহার বিশ্বাস (৪৮)।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।