ঢাকা: গঙ্গার পানিচুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত। এই বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা যোগ দেবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি সই হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ৩০ বছর মেয়াদি সেই চুক্তির সময়সীমা আগামী ২০২৬ সালে শেষ হচ্ছে। এমতাবস্থায় মেয়াদ পূর্তির আগেই অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে চুক্তির নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
জানা গেছে, ঢাকার পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেন-এর নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রতি বছর দুইবার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। সে মোতাবেক সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৬ মার্চ ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা এবং গত ৭ মার্চ কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, যা দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক।

– ছবি : সংগৃহীত
যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে কমিশনের সদস্য আবুল হোসেন-এর নেতৃত্বে সোমবারই ঢাকা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলের। মূলত গঙ্গা পানিচুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না- সেটি দেখাই এই বৈঠকের প্রধান বিষয়।
এছাড়াও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানুয়ারি থেকে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ফরাক্কা ব্যারাজে থাকেন। প্রতিদিন চারবার করে জল ছাড়ার পরিমাণ খতিয়ে দেখেন তারা।
সূত্রমতে, অনুষ্ঠেয় বৈঠকে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নে বাংলাদেশ গড়ে ৪০ হাজার কিউসেক পানি চাইতে পারে। এছাড়া চুক্তিটি দীর্ঘমেয়াদি করারও পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টন ছাড়াও ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই, মনু ও মুহুরীসহ মোট ১৪টি নদীর পানিবণ্টন চুক্তি করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাব করবে। বাংলাদেশ চায় উভয় দেশ আন্তর্জাতিক পদ্ধতি মেনে এসব নদীর পানি ব্যবহার করুক।