চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর দলটির কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা নির্বাচনে ২০০৮ সালের মতো ডিজিটাল কারচুপির আশঙ্কা করছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমাদানের সময় সঙ্গে থাকা নজরুল একথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামের আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেভাবে নতুন নতুন ইস্যুর জন্ম দিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে, তাতে ২০০৮ সালের আদলে ডিজিটাল কারচুপির নির্বাচনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ভোটগণনা কক্ষসহ নির্বাচনি কার্যক্রমের শতভাগ সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। অবিলম্বে শহিদ হাদির খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং সামগ্রিক জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটে হ্যাঁ- জয়যুক্ত করতে হবে। এজন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারসহ সকল রাজনৈতিক দলকে ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে,একটা সুষ্ঠু নির্বাচন পাব।’
এদিন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে জামায়াতের শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ডা. একেএম ফজলুল হক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের প্রার্থী শফিউল আলম রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে শাহজাহান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জহিরুল ইসলাম নিজ নিজ এলাকায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।