Wednesday 24 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০ প্রশ্নের উত্তর দিলেন মাহদী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৮ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৪১

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানের এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে জনমনে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহলের মধ্যে তার উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এসব উত্তর দেন।

ড. মাহদী লেখেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।‘

বিজ্ঞাপন

দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘দেশে পৌঁছেই তারেক রহমান সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। পথে রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানাবেন তিনি।’’

৩০০ ফিট এলাকা বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘জনদুর্ভোগ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতেই রাজধানীর কেন্দ্রীয় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো এড়িয়ে এই প্রশস্ত ও তুলনামূলক নির্জন সড়ক নির্বাচন করা হয়েছে। এটি কোনো জনসভা বা সংবর্ধনা নয়, বরং কেবল দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি।’

জনভোগান্তি কমাতে ঢাকাজুড়ে ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প, একটি অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি যানজট এড়াতে আলাদা বাস পার্কিং, হেল্প ডেস্ক ও জরুরি যান চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছেও বলেও তিনি জানান।

২৫ ডিসেম্বর তারিখ নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. মাহদী বলেন, ‘এটি সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এবং পরবর্তী দুই দিন ছুটি থাকায় নাগরিক চাপ ও যানজট কমানোর লক্ষ্যেই এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।’

এই প্রত্যাবর্তনের রাজনৈতিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ফেরা কেবল ব্যক্তিগত নয়; বরং এটি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ঐক্য এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এফএন/এইচআই
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর