ঢাকা: জনগণের দুর্ভোগ লাঘব এবং দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি মঞ্চ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানের সংবর্ধনায় কত মানুষ উপস্থিত হবে, তা এখনই অনুমান করা কঠিন। ধারণার বাইরেই জনসমাগম হবে।’
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব বড় রাজনৈতিক নেতার ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’
এদিকে, একইদিন দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারেক রহমান বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। দেশে পৌঁছানোর পর তিনি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং সেখানে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন।
দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার নির্ধারিত রুট ম্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত রুট অনুযায়ী, তিনি রানওয়ে থেকে ভিআইপি গেট হয়ে আট নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে বিমানবন্দর স্টেশন, খিলক্ষেত ফ্লাইওভার অতিক্রম করে ৩০০ ফিট সড়কের সভাস্থলে পৌঁছাবেন। আট নম্বর গেট ও ক্যান্টিন গেটে দুটি মিডিয়া বুথ থাকবে। মিডিয়া পাস ছাড়া কোনো সাংবাদিককে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরছেন।