Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায় রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৪

ফাইল ছবি: হাইকোর্ট

ঢাকা: বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন) ওপর আগামীকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় রায় ঘোষণার জন্য মামলা দুটি ৫৪ ও ৫৫ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আগামীকাল (রোববার) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর রায় হবে। আশা করছি এ মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস পাবেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।

এর আগে ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহানের মতে, এ মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে, সেটি আইনিভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ দ্বিতীয় অভিযোগপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া হয়নি, সরাসরি জজ আদালতে দেওয়া হয়। সে কারণে এই অভিযোগপত্র ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গৃহীত হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে কে গ্রেনেড ফাটালো, এটা নিয়ে কারও সাক্ষ্য নেই বা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই। এটার হদিস পাওয়া যায়নি।

তারেক রহমানের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, আমি এটা উল্লেখ করেছি, যদিও উনার কোনো আপিল নেই। কিন্তু আদালত যদি মনে করেন যে এ মামলার কোনো আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হয়নি বা দায়সারা গোছের অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাহলে মামলা প্রমাণ না হলে বা আসামি খালাস পাওয়ার যোগ্য হলে আদালত খালাস দিতে পারেন। এ রকম নজির ভারত, পাকিস্তান ও আমাদের সুপ্রিম কোর্টেও আছে।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের মতে, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দির ভিত্তিতে অধিকতর যে তদন্ত হয়েছে, সেটির আইনি ভিত্তি নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে।

এ ঘটনার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দেন।

একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় আরও ১১ আসামিকে। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন।

এরপর চলতি বছরের গত ৩১ অক্টোবর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়। গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষ হয়‌।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

২১ আগস্ট আপিল শুনানি গ্রেনেড হামলা মামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স