ঢাকা: চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় তার সাবেক স্ত্রী সামীরা হক, খলনায়ক ডনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। নতুন নির্ধারিত তারিখ হলো ১৩ জানুয়ারি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা—রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম খন্দকার—প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আদালত নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—সামীরা হকের মা লতিফা হক লুছি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আ. ছাত্তার, সাজু, রেজভি আহমেদ ওরফে ফরহাদ।
গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশের পরই রাতেই সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম নতুন করে হত্যা মামলা করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। এক বছর পর ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে পুনর্বিন্যাসের আবেদন হলে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
সিআইডি ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করে। পরিবারের আপত্তিতে প্রতিবেদনটির বিরুদ্ধে রিভিশন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যু ‘অপমৃত্যু’ বলেই উপসংহার দেওয়া হয়। এরপর নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। সর্বশেষ পিবিআই ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, যার ভিত্তিতে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়। তবে ২০২২ সালের ১২ জুন সেই আদেশের বিরুদ্ধেও রিভিশন দায়ের করা হয়।
সবশেষ সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন হিসেবে ১৩ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হলো।