Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইন্দোনেশিয়ায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১৬, নিখোঁজ ২৭৪ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫৭ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:২৯

ছবি: রয়টার্স

একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এবং টানা ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম, শহর ও উপকূলীয় এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৯১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ২৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। আচেহ প্রদেশের তামিয়াং জেলার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে খাবার, পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মানুষগুলো ব্যাপক ভোগান্তিতে আছে।

তামিয়াং জেলার একটি ইসলামি আবাসিক স্কুলের শিক্ষার্থী দিমাস ফিরমানসিয়াহ (১৪) বলেন, বন্যার কারণে তিনি ও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থী গত এক সপ্তাহ ধরে হোস্টেলে আটকা পড়েছেন এবং পানির যোগান ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরকারি সহায়তা কেন্দ্রগুলো থেকে খাবার ও পানি সংগ্রহ করতে তাদের সীমাহীন ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবাও সুবিয়ান্তো কয়েক দিন আগে বলেছেন যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে এবং সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশের প্রশাসন তার সঙ্গে একমত নয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে।

পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, এই প্রাণহানির প্রধান কারণ হলো বনজঙ্গল উজাড় এবং অবৈধ খনি খনন। সংস্থাগুলো চীনের অর্থায়নপুষ্ট নর্থ সুমাত্রা হাইড্রো এনার্জি ও এগিনকোর্ট রিসোর্সেসকে দায়ী করেছে। রয়টার্স প্রতিক্রিয়া জানতে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

ঘূর্ণিঝড় সেনিয়া এবং এর আগে-পরে বেশ কয়েকটি মৌসুমি ঝড় ও ভারী বর্ষণের কারণে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বন্যা শুরু হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশে, যেখানে ভূমিধসের ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে।

সারাবাংলা/এমপি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর