ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্যিক আদালত স্থাপনের উদ্যোগ প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন।
এ সময় বাণিজ্যিক আদালত স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘যদিও আমাদের অর্থঋণ আদালত এবং বিকল্প বিরোধ আইন-২০০১ রয়েছে, তবুও এদের দূর্বল বাস্তবায়ন ও সীমিত পরিসরের কারণে অর্থনীতিতে কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি।’ এ ক্ষেত্রে, কমার্শিয়াল কোর্ট অর্ডিনেন্স-২০২৫ এর সাম্প্রতিক অনুমোদন একটি সময়োপযোগী এবং যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে একটি উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দক্ষ বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।‘ এ ছাড়াও, দেশের বিদ্যমান অস্বাভাবিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য উন্নয়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার জন্য তিনি প্রধান বিচারপতির প্রশংসা করেন।
তাসকীন আহমেদ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, দৈনন্দিন আদালত কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসাও করেন। এ ফলে বেসরকারিখাতের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে তিনি জানান।
ডিসিসিআই সভাপতির মন্তব্যের জবাবে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত করতে এবং এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য দেশের বেসরকারিখাতকে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে করে এটি আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে আরও সহজতর করতে সক্ষম হয়।’
প্রধান বিচারপতি বেসরকারিখাতের জন্য অনুকূল পরিবেশ উন্নয়নে আরও ভালোভাবে অবদান রাখতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ডিসিসিআই’র যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোরারোপ করেন। তিনি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষায় বেসরকারিখাতের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে ঢাকা চেম্বারের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে বেসরকারিখাতের নেতৃত্বে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য উন্নয়নে ঢাকা চেম্বার আরও বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এএইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।