Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুদকে হাজিরা দিতে গিয়েও খাবারের বিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে


১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা দুদকের তলবে হাজিরা দিতে গিয়ে এক হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে বিল তুলেছেন ৫ হাজার ৩৯৬ টাকা। এই বিলের টাকা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে।

২২ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের একটি হোটেলে এই টাকার খাবার খান শিক্ষক, কর্মকর্তারা। এসব খাবারের বিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত ভাউচারে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ভাউচারে বিল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাদা ভাত ১ হাজার টাকা, কোরাল মাছ ৯২০ টাকা, রুপচাঁদা মাছ ৪০০ টাকা, শাক-সবজি ১২০ টাকাসহ ১০ পদের খাবারের বিল বাবদ মোট ৫ হাজার ৩৯৬ টাকা।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিন, সাবেক প্রক্টরসহ আট শিক্ষক, তিন কর্মকর্তা ও ৩৫ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২২ আগস্টে দুদকের তলব করা আট শিক্ষকের মধ্যে আছেন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিজ্ঞান ওয়ার্কশপের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শফিউল আলম ও সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলী আজগর চৌধুরী। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ ও শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি ড. সুমন গাঙ্গুলী, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস-এর পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান এবং পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ উন নবী।

বিজ্ঞাপন

তিন কর্মকর্তা মধ্যে আছেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ, হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী এবং উপাচার্য দফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (কম্পিউটার) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এই বিষয়ে জানকে চাইলে হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গেছি। ওইখানে আমাদের এক গ্লাস পানি ছাড়া কিছু খাওয়াইনি। সাড়ে ৩টা ৪টা পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে গেছি সেজন্য আমরা হোটেলে গিয়ে ভাত খেয়েছি। আমরা ২০ জন ছিলাম। আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়ালি। অফিসিয়ালের ভিত্তিতে বিল করেছি। নিয়মের মধ্যে একদম যেটা হবে না সেটা নিয়মের মধ্য দিয়ে আমরা বিল করিনি।

খাবারের বিল দুদক হাজিরা

বিজ্ঞাপন

দেশপ্রেম ও মেধা পাচার
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৪

আরো

সম্পর্কিত খবর