ফেসবুকে ‘হাসির রিঅ্যাক্ট’ দেওয়া নিয়ে চবি ক্যাম্পাসে মারামারি
৩১ মার্চ ২০১৯ ১৭:১৪ | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ১৭:১৮
চট্টগ্রম ব্যুরো: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে (রিঅ্যাক্ট) প্রতিক্রিয়া দেওয়া নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিনজন।রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ক্যাম্পাসের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগে সক্রিয়।
আহতরা হলেন- আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের জোবায়ের আহমেদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তনয় কান্তি দাশ এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কাজল দাশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বিজয় গ্রুপের তনয় এক ছাত্রীর ফেসবুকে একটি পোস্টে ‘হাসির রিঅ্যাক্ট’ দেয়। ওই ছাত্রীর সহপাঠী সিএফসি গ্রুপের নেতা। ক্যাম্পাসে তনয়কে পেয়ে সিএফসি গ্রুপের ওই নেতার প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় এবং পরে তারা মারামারিতে জড়ায়। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
অগ্রণী ব্যাংকের সামনে প্রথমদফা মারামারির পর শহীদ আব্দুর রব হলে সিএফসি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা আমানত হলে ও বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়।
চবি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আক্তারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে যায়। আমরা উভয় গ্রুপকে সরিয়ে দিই। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি রেজাউল হক রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা সিনিয়রেরা বসে সমাধান করে ফেলব।’
তবে এই ঘটনায় বিজয় গ্রুপের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয় প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সারাবাংলা/সিসি/আরডি/এমআই