ময়মনসিংহ: গফরগাঁওয়ে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভের জেরে ফের রেলপথ অবরোধ করেছে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকরা।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির একাংশের সমর্থকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে কলাগাছ ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও রেলওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম কিবরিয়া।
তিনি বলেন, বিক্ষোভ করে রেললাইনে টায়ার এবং কাঠ জ্বালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া রেললাইনের কিছু অংশের সিগনাল পয়েন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। একইসঙ্গে কয়েকটি গাছের টুকরা পোড়ানো হয় এবং রেললাইনে কলাগাছ ফেলে রাখা হয়।
এর আগে, শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গফরগাঁও উপজেলার শিবগঞ্জ রোড রেলক্রসিংয়ে আগুন দেয়। এতে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে রেলপথ থেকে সরে গেলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বাচ্চুকে বিএনপি মনোনোয়ন দেওয়ার খবর এলাকায় পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মনোনয়নপ্রত্যাশী ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাতিজা মুশফিকুর রহমানের সমর্থকরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন। এ সময় শহরের প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে মনোনয়নবঞ্চিত সমর্থকরা। একপর্যায়ে তারা গফরগাঁও স্টেশনে ঢুকে স্টেশনমাস্টারকে বের করে দেয়। পরে রেললাইনের ওপর টায়ার ও গাছের টুকরায় আগুন জ্বালিয়ে দিলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ছাড়া এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ছিলেন গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকুর রহমান, প্রয়াত সাবেক এমপি ফজলুর রহমান সুলতানের ছেলে মুশফিকুর রহমান, পাগলা থানার সাবেক আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, পাগলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আল ফাত্তাহ খান ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম।