পঞ্চগড়: হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়। ঘন কুয়াশা আর হাড়-কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দিনেও স্বস্তি নেই, আর রাত নামলেই প্রকৃতি যেন আরও কঠোর হয়ে ওঠে।
সকাল (২৬ ডিসেম্বর) ৯টার দিকে তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা পাঁচ দিন ধরে শৈত্য প্রবাহ বইছে এই জেলায়।
শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনে চেষ্টা করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও সন্ধ্যা নামতে না নামতেই শুরু হওয়া উত্তরের হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া সন্ধ্যর পর ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করায় জেলার হাসপাতালগুলোতে দিন দিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেশি। শীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শতাধিক রোগী বহির্বিভাগ থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ তারা কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময়,রৌদ্রোজ্জ্বল থাকলেও কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি। এই জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলের, নির্দিষ্ট স্তরে জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের প্রভাবে জমাট বাধা বরফ গলে যায়। তার কারণে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।