হুমায়ূন আহমেদের আঁকা নিখোঁজ তৈলচিত্র উদ্ধার

বাংলা সাহিত্যের তুমুল জনপ্রিয় লেখক, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের হারিয়ে যাওয়া একটি আলোচিত চিত্রকর্মের খোঁজ পাওয়া গেছে। আইনি জটিলতা শেষে তার পরিবার চিত্রকর্মটি ফিরে পেয়েছেন।

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়ে ছেলে নিষাদ হুমায়ূনের সাথে সময় কাটানোর মধ্যে এঁকেছিলেন ২৪টি চিত্রকর্ম। চিত্রকর্মগুলো পরবর্তীতে নিউইয়র্কবাসী রুমা চৌধুরী ও বিশ্বজিৎ সাহা দম্পতির অনুরোধে নিউইয়র্ক বইমেলায় প্রদর্শনের জন্য তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। শর্ত ছিল প্রদর্শনী শেষে চিত্রকর্মগুলো পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।

এর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ মারা গেলে রুমা চৌধুরী ২৪টির মধ্যে ২০টি চিত্রকর্ম  লেখকের মা আয়েশা ফয়েজকে ২০১৩ সালে ফেরত দেন। কিন্তু সেইসময়ে বাকি চারটি চিত্রকর্মের হদিস মেলেনি। এর মধ্যে ২০২১ সালে হঠাৎ করেই হারিয়ে যাওয়া একটি চিত্রকর্ম কুমিল্লায় প্রদর্শিত হবে বলে জানা যায়। হারিয়ে যাওয়া চিত্রকর্মটি উদ্ধারে আদালতের শরণাপন্ন হন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তভার দেয়। পিবিআই কুমিল্লা থেকে সেই চিত্রকর্মটি উদ্ধার করে ও আদালতে জমা দেয়।

প্রায় দুই বছর মামলাটি চলার পর সিএমএম আদালত ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী উদ্ধারকৃত তৈলচিত্রটি বাদীকে  ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসামীদের অব্যাহতির দেন। এরপর গত ২২ অগাস্ট তৈলচিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের পরিবারকে ফেরত প্রদান করা হয়। পরিবারের পক্ষে আদালত থেকে তৈলচিত্রটি এডভোকেট গাজী মাহবুব আলম ও এডভোকেট শিহাব উদ্দিন গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন লেখকের পরিবারের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।

ছবিটি ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে প্রয়াত লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন জানান, লেখকের আঁকা হারিয়ে যাওয়া তৈলচিত্রটি ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আদালতের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হওয়ার ফলে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। তৈলচিত্রটি ফিরে পাওয়াই ছিলো আমাদের উদ্দেশ্য, তবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা নয়। আমরা আদালত, পিবিআই এর কর্মকর্তাগণ ও আইজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

সারাবাংলা/এজেডএস

চিত্রকর্ম হুমায়ূন আহমেদ