ঘাম-গরমের দিনেও সুস্থ ও সুন্দর চুল
১ এপ্রিল ২০২২ ১১:১৬ | আপডেট: ১ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৭
গরমের দিন মানেই চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা। একে তো নগরযন্ত্রণার ধুলো আর ঘামেভেজা চুল। সঙ্গে বিষফোঁড়া হিসেবে যুক্ত হয় বাতাসের অতিরিক্ত আদ্রতা ও আবহাওয়ার রুক্ষতা। যা আপনার চুলকেও করে তোলে রুক্ষ। ফলাফল? খুসকি, ডগাফাটা চুল আর চুলের রুক্ষভাব। আর এসব থেকে বাঁচতে গরমে চুলের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। ঘাম-গরমের দিনেও সুস্থ ও সুন্দর চুল রাখার টিপস দিয়েছে লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘স্টার্ট হেলদি’। জরুরী সেই পরামর্শগুলো এবার থাকছে সারাবাংলার পাঠকদের জন্য-
চুল রাখতে হবে ঢেকে
গরমে চুল খোলা রাখলেই ঘাম হয় আর ঘাম থেকেই হয় খুশকি। গরমে সূর্যের কড়া রোদ, তাপ, ধুলোবালি ইত্যাদি চুলের দুর্দশা ডেকে আনে। আর ঘামে ভেজা চুল থেকে স্ক্যাল্পে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগও হতে পারে। আর এসবেই হয় প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই সবসময় চেষ্টা করা উচিত চুলকে সূর্যের আলো, রোদ, বৃষ্টি থেকে সুরক্ষিত রাখার। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো। বাহারি স্কার্ফ বা টুপিতে ঢেকে রাখতে পারেন আপনার চুল।
চুলেরও দরকার সানস্ক্রিণ
শুধু মুখেই সানস্ক্রিন নয়। মাথার ত্বক বা চুলেরও দরকার একই যত্ন। রোদ লেগে চুলের রং নষ্ট হয়ে যাওয়া বা অসময়ে চুল নির্জীব হয়ে পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যা সমাধানে সানস্ক্রিন চুলকে ক্ষতিকারক সূর্যের রশ্মি থেকে বাঁচিয়ে প্রাকৃতিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চুলের সানস্ক্রিন মূলত দুই ধরনের হয়। হেয়ার সিরাম ও হেয়ার স্প্রে। চুলের সানস্ক্রিন ব্যবহারে চুল সহজেই রুক্ষ হয়ে যাবে না।
রোজ শ্যাম্পু একেবারেই নয়
এই গরমে ঘাম অনেকসময় চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি। কিন্তু এতে চুল রুক্ষ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনভাবেই শ্যাম্পু করবেন না আর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন। চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে কন্ডিশনারের বদলে হেয়ার মাস্ক লাগাতে পারেন। ঘরোয়া হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক শুকনো বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী।
শ্যাম্পু ব্যবহারের কৌশল শিখুন
গরমে চুলে ঠিকভাবে শ্যাম্পু ব্যাবহার করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের দেখভালের জন্য সবারই থাকে শ্যাম্পুর নিজস্ব পছন্দ। নারকেল, শিয়া বাটার, আর্গানিক তেলের শ্যাম্পুগুলো চুলের জন্য ভালো। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার শ্যাম্পু ব্যবহারের কৌশল জানা। শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানো। এজন্যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, শ্যাম্পু সরাসরি চুলে লাগাবেন না। প্রথমে স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখাটা জরুরি
চুলের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল মাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য আর বাড়বৃদ্ধির পক্ষে খুব ভালো। সাতদিন বা চোদ্দদিন পরে চুলে অয়েল ম্যাসাজ নিন। এছাড়া হাতের কাছে রাখুন হাইড্রেটিং হেয়ার মিস্ট। রুক্ষতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবে এই মিস্ট। অ্যালোভেরা জেলে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিলেও দারুণ ঘরোয়া হেয়ার মিস্ট পেয়ে যাবেন।
ড্রয়ারে রাখুন উকুননাশক শ্যাম্পুও
উকুন শুনেই হয়তো অনেকে ভ্রু কুঁচকাবেন। কিন্তু ভ্যাপসা আবহাওয়ায় চুল উকুনের নিরাপদ আবাসস্থল। তাই চুল বেশিক্ষণ ভেজা না রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুকিয়ে ফেলুন। খুব বেশি দরকার ছাড়া হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এতে চুল শুস্ক হয়ে যায়। চুলের খুশকি ও উকুন প্রতিরোধে মেথি ও লেবু উপকারী। নারকেল তেলে ন্যাপথলিন ডুবিয়ে রেখে চুলে সে তেল লাগালেও উকুন প্রতিরোধে অনেক কাজে দেয়।
সারাবাংলা/এসবিডিআই/এজেডএস/