কথা বলছে খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। চোখে চোখ রেখে হাসিও দিচ্ছে। কিন্তু মন বলছে— ‘কিছু একটা ঠিক নেই!’ আসলে মিথ্যা ধরতে ডিটেকটিভ হওয়ার দরকার নেই। একটু পর্যবেক্ষণ, সামান্য রসবোধ আর কিছু মানবিক বুদ্ধিই যথেষ্ট। চলুন, মজা আর বাস্তবতার মিশেলে দেখে নেওয়া যাক— সামনের মানুষটি সত্যি বলছে, নাকি ‘গল্প বানাচ্ছে’!
চোখের ভাষা সব বলে দেয়
অনেকেই মিথ্যা বলার সময় চোখে চোখ রাখতে পারে না। কেউ আবার অতিরিক্ত চোখে চোখ রেখে তাকায়—যেন প্রমাণ করতে চায়, ‘আমি কিন্তু একদম সত্যি বলছি!’
পরামর্শ: স্বাভাবিক চোখের আচরণ হঠাৎ বদলে গেলে সাবধান হোন।
কথা কম, ব্যাখ্যা বেশি
একটা সাধারণ প্রশ্নের উত্তরে যদি পাঁচ মিনিটের বক্তৃতা শুরু হয়—তাহলে সেখানে ‘ফাঁক’ থাকার সম্ভাবনা আছে।
পরামর্শ: সত্য সাধারণত ছোট হয়, মিথ্যাকে বড় করে সাজাতে হয়।
অকারণ হাসি আর অস্বস্তি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যদি মানুষটা হঠাৎ নার্ভাস হাসি দেয়, ঘামতে থাকে বা অদ্ভুত ভঙ্গি করে— তাহলে সেটি লুকোনোর চেষ্টা হতে পারে।
পরামর্শ: হাসি সব সময় সুখের লক্ষণ নয়!
গল্পে বারবার পরিবর্তন
আজ এক কথা, কাল আরেক কথা— ঘটনার তারিখ, সময় বা চরিত্র বদলে যাচ্ছে?
পরামর্শ: সত্যের স্মৃতি শক্ত হয়, মিথ্যার স্ক্রিপ্ট দুর্বল।
বেশি বেশি শপথ
‘আমার মায়ের কসম’, ‘বিশ্বাস করো’— এই শব্দগুলো বেশি শোনা গেলে একটু থামুন।
পরামর্শ: সত্য বলার জন্য আলাদা করে শপথ লাগে না।
প্রশ্নের উত্তরে দেরি
সহজ প্রশ্নে অস্বাভাবিক দেরি মানে ভেতরে ভেতরে ‘স্ক্রিপ্ট লেখা’ চলছে।
পরামর্শ: মাথার ভেতর হিসাব কষা শুরু হলে সতর্ক হোন।
তাহলে করণীয় কী?
সব মিথ্যা ধরতে যাবেন না। সবাই সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলে না। কখনো ভয়, কখনো পরিস্থিতি, কখনো সম্পর্ক বাঁচানোর চেষ্টায় মানুষ সত্য আড়াল করে।
সবচেয়ে বড় পরামর্শ:
অভিযোগ নয়, প্রশ্ন করুন।
রাগ নয়, বোঝার চেষ্টা করুন।
আর সবকিছুর আগে— নিজের অন্তর্জ্ঞানকে গুরুত্ব দিন।
কারণ মন অনেক সময় আগেই বুঝে যায়, মুখটা শুধু প্রমাণ খোঁজে।